মোঃ কামরুল হাসান।।
একজন বক্তা/পাঠক তিনিই নাকি সুবক্তা/সুপাঠক যিনি জানেন, তাকে কোথায়, কতটুকু বা কীভাবে থামতে হয়/হবে । যিনি জানেন না, তাকে কোথায়, কতটুকু বা কীভাবে থামতে হয়/হবে, তার জন্য প্রয়োজন থামা-চিহ্ন । এই থামাকেই বলা হয় বিরাম । আর না থামাকেই বলা হয় অবিরাম । যেহেতু কোথায় থামতে হয়/হবে তা সবার পক্ষে জানা থাকে না তাই লেখার মধ্যে বিরামচিহ্নের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য ।
বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝাবার জন্য বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের শেষে কিংবা বাক্যের আবেগ (আনন্দ, বেদনা, দুঃখ), জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশের উদ্দেশ্যে বাক্যগঠনে যেভাবে বিরতি দিতে হয় এবং লেখার সময় বাক্যের মধ্যে তা দেখানোর জন্য যে সব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, সেগুলোই বিরামচিহ্ন বা যতিচিহ্ন বা ছেদচিহ্ন ।
বাংলা ভাষায় বিরামচিহ্ন বা যদিচিহ্ন বা ছেদচিহ্ন
বাংলা ভাষায় শুধু দাঁড়ি চিহ্ন ছাড়া যত রকমের বিরামচিহ্ন আছে সবই ইংরেজি ভাষার অভিজ্ঞতার সূত্রে আমরা জেনেছি এবং সেখান থেকে ধার করেছি । এক দিনে রাতারাতি সব ধার করিনি, ধীরে ধীরে যখন যা দরকার পড়েছে নিয়ে এসেছি ।
বর্তমানে বাংলা ভাষাতে ব্যবহৃত কতিপয় বিরামচিহ্ন :
১. কমা (,)
২. সেমিকোলন (
৩. দাঁড়ি (।)
৪. উদ্ধৃতি (‘ ’/“ ”)
৫. প্রশ্ন/জিজ্ঞাসা (?)
৬. বিস্ময়/আশ্চর্য (!)
৭. কোলন )
৮. কোলন-ড্যাস (:—)
৯. ড্যাস (—)
১০. হাইফেন (-)
১১. ঊর্ধ্বকমা/লোপ (’)
১২. বন্ধনী ([ ], { }, ( ))
১৩. বিকল্প (/)
১৪. সমান )
১৫. একবিন্দু (.)
১৬. ত্রিবিন্দু (…)
১৭. ধাতু-দ্যোতক (∙)
১৮. পরবর্তী রূপবোধক (<)
১৯. পূর্ববর্তী রূপবোধক (>) ইত্যাদি ।
১. কমা (,)
নাম : কমা
চিহ্ন : (,)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : ১ (এক) বলতে যে সময় লাগে ।
ফাঁকা (Space) : আগে ফাঁকা থাকবে না, তবে পরে ফাঁকা থাকবে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
১. বাক্যের অর্থ স্পষ্ট করার জন্য কমা বসে । যেমন : সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে । কারণ, জানা গিয়াছে যে, যত বয়সই হোক, জীবিতদের মধ্যে জন্মে কেউ কখনও এমন গরম নাকি দেখেননি ।
২. সমজাতীয় একাধিক পদ পরপর থাকলে কমা বসে । যেমন : পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র আমাদের বড়ো নদী । পরিত্যক্ত বাড়িতে ইঁদুর, তেলাপোকা, চামচিকা, উইপোকা ইত্যাদির উৎপাত বেড়ে গেছে ।
৩. সম্বোধন পদের পরে কমা বসে । যেমন : রনি, পড়তে বসো । হেনা, এদিকে এসো ।
4. উদ্ধৃতিচিহ্নের আগে কমা বসে । যেমন : মা বললেন, “অঙ্ক করতে বসো ।” তিনি বললেন, “আমি বাড়ি যাব না ।”
5. একজাতীয় একাধিক বাক্য বা বাক্যাংশ পাশাপাশি ব্যবহৃত হলে কমা বসে । যেমন : সজল শ্রেণিকক্ষে ঢুকল, বই রাখল, তারপর বেরিয়ে গেল ।
6. অন্যথাসূচক অব্যয় যদি বাক্যে ব্যবহৃত হয়—তাহলে ঐ অব্যয়ের পূর্বে কমা বসে । যেমন : কাল অফিসে যেও, নইলে তোমার চাকরি থাকবে না ।
7. অনেক অঙ্ক পরপর বসিয়ে সংখ্যা প্রকাশের ক্ষেত্রে কমা বসে । যেমন : ১,৪৭,৫৭০ । [এক্ষেত্রে আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে না ।]
৮. তারিখ লেখার সময় অনেক সময় কমা বসে । যেমন : ৮ মাঘ, বুধবার, ১৩৭৫ সাল ।
৯. বাড়ি বা রাস্তার নম্বরের পরে কমা বসে । যেমন : ৯, ইকবাল রোড, ঢাকা ।
১০. নামের পরে ডিগ্রিসূচক পরিচয় সংযোজিত হলে কমা বসে । যেমন : ড. ছিদ্দিকুর রহমান, এম.এ., এম.এড. ।
২. সেমিকোলন (
নাম : সেমিকোলন
চিহ্ন : (
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : ১ (এক) বলার দ্বিগুণ সময়সীমা ।
ফাঁকা (Space) : আগে ফাঁকা থাকবে না, তবে পরে ফাঁকা থাকবে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
১. বাক্যের মধ্যে একাধিক বক্তব্য থাকে, তা হলে অর্থ স্পষ্ট করার জন্য একেকটি বক্তব্যের পরে সেমিকোলন বসে । যেমন : বাবা বললেন, “মিথ্যা বলার দরকার নেই; তুমি বলো, ‘আমি জানি না’ ।”
2. কোনো তালিকায় একাধিক ব্যক্তির নাম ও তাঁদের পদের উল্লেখ থাকলে বোঝবার সুবিধের জন্যে সেমিকোলন ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে । যেমন : অনুষ্ঠানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন : শামসুর রহমান, সভাপতি; আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক; চিন্ময় দত্ত, প্রচার সম্পাদক ।”
৩. দাঁড়ি (।)
নাম : দাঁড়ি
চিহ্ন : (।)
বাক্যে অবস্থান : শেষে
বিরতিকাল : ১ (এক) সেকেন্ড কাল পরিমাণ ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
বাক্যের সমাপ্তি বা পূর্ণ-বিরতি বোঝাতে দাঁড়ি বসে । যেমন : আমরা বাংলাদেশে বসবাস করি ।
[* বিজয় ফন্ট দিয়ে লিখলে আংশিক ফাঁকা এমনিতেই হয়ে যায়; কিন্তু অভ্র দিয়ে লিখলে একসাথে লেগে থাকে । সেক্ষেত্রে, পড়ার সময় বিভ্রান্তি ঘটতে পারে । তাই, অভ্র দিয়ে লেখার সময় ফাঁকা দিতে হয়; বিজয় ফন্ট দিয়ে লেখার সময় ফাঁকা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না ।]৪. উদ্ধৃতি (‘ ’/“ ”)
নাম : উদ্ধৃতি
চিহ্ন : (‘ ’/“ ”)
বাক্যে অবস্থান : পূর্বে, মধ্যে ও শেষে
বিরতিকাল : ১ (এক) বলতে যে সময় লাগে ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
১. এক জনের বক্তব্যের ভিতরে যদি ভিন্ন জনের বক্তব্য উদ্ধৃত হয় তাহলে প্রধান ক্ষেত্রে জোড়-উদ্ধৃতিচিহ্ন এবং তার অন্তর্গত উদ্ধৃতিতে এক-উদ্ধৃতিচিহ্ন বসে । যেমন : বাবা বললেন, “মিথ্যা বলার দরকার নেই; তুমি বলো, ‘আমি জানি না’ ।”
২. সাধারণত উদ্ধৃত শব্দের দুই দিকে এক-উদ্ধৃতি এবং বাক্যাংশ বা বাক্যের দুই দিকে দ্বৈত-উদ্ধৃতি চিহ্ন বসে । যেমন : ‘সন্ধি’ শব্দের অর্থ হলো মিলন । হৈম ব্যথিত হইয়া প্রশ্ন করিল, “কেহ যদি বয়স জিজ্ঞাসা করে কী বলিব ?”
৫. প্রশ্ন/জিজ্ঞাসা (?)
নাম : প্রশ্ন/জিজ্ঞাসা
চিহ্ন : (?)
বাক্যে অবস্থান : শেষে
বিরতিকাল : ১ (এক) সেকেন্ড কাল পরিমাণ ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
বাক্যে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে বাক্যের শেষে বসে । যেমন : সে কি যাবে ?
৬. বিস্ময়/আশ্চর্য (!)
নাম : বিস্ময়/আশ্চর্য
চিহ্ন : (!)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে ও শেষে
বিরতিকাল : ১ (এক) সেকেন্ড কাল পরিমাণ ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
হৃদয়াবেগ (বিস্ময়, আবেদন, আর্তি, হতাশা, আনন্দ, দুঃখ ইত্যাদি) প্রকাশ করতে হলে বাক্যের শেষে বিস্ময়চিহ্ন বসে । যেমন : বাহ্ ! দারুণ বলেছো ।
৭. কোলন )
নাম : কোলন
চিহ্ন : )
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : ১ (এক) সেকেন্ড কাল পরিমাণ ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
কোলনের কাজ বাক্যের অন্তর্গত কোনো অংশকে বিশদ করা ।
যেমন : মৃত্যুঝুঁকি ও আত্মোপলব্ধি : সাধারণ চিন্তা ।
[বর্তমানে ড্যাশ ও কোলন ড্যাশের পরিবর্তে বা বিকল্প হিসেবে অনেকেই শুধু কোলন ব্যবহার করছেন ।]৮. কোলন-ড্যাশ (:—)
নাম : কোলন-ড্যাশ
চিহ্ন : (:—)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : ১ (এক) সেকেন্ড কাল পরিমাণ ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
১. উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত দিতে কোলন-ড্যাশ চিহ্ন ব্যবহৃত হয় । যেমন : বাক্য ৩ প্রকার । যথা :— সরল, জটিল, যৌগিক ।
[বর্তমানে কোলন ড্যাশের জায়গা দখল করে নিয়েছে কোলন বা ড্যাস ।]৯. ড্যাশ (—)
নাম : ড্যাশ
চিহ্ন : (—)
বাক্যে অবস্থান : পূর্বে ও মধ্যে
বিরতিকাল : ১ (এক) সেকেন্ড কাল পরিমাণ ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে না ।
ব্যবহারের নিয়ম :
১. ড্যাশ চিহ্ন দিয়ে পাশাপাশি দুই বা ততোধিক খণ্ডবাক্য জোড়া লাগানো হয় । যেমন : হঠাৎ মূহুর্তের জন্য—কী কারণে বুঝলাম না—আমাদেরও একটু যেন মন খারাপ হলো ।
২. সংলাপ বা কথোপকথনের শুরুতে ড্যাশ চিহ্ন বসে । যেমন :
—কেমন আছো ?
—ভালো আছি ।
১০. হাইফেন (-)
নাম : হাইফেন
চিহ্ন : (-)
বাক্যে অবস্থান : পূর্বে ও মধ্যে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে না ।
ব্যবহারের নিয়ম :
হাইফেন চিহ্ন দিয়ে পাশাপাশি দুই বা ততোধিক শব্দকে জোড়া লাগানো হয় । যেমন : উত্তর-পশ্চিম কোণে ঝড়ের কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে ।
১১. ঊর্ধ্বকমা/লোপচিহ্ন (’)
নাম : ঊর্ধ্বকমা/লোপচিহ্ন
চিহ্ন : (’)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে না ।
ব্যবহারের নিয়ম :
১. হাইফেনের বিকল্প হিসেবে ঊর্ধ্বকমা ব্যবহৃত হয় । যেমন : তার পা’টা কেটে বাদ দিতে হলো ।
২. সালের বর্জিত সংখ্যা বোঝাতে ঊর্ধ্বকমা ব্যবহৃত হয় । যেমন : ২৬শে মার্চ ’৭১ ।
১২. বন্ধনী ([ ], { }, ())
নাম : বন্ধনী
চিহ্ন : ([ ], { }, ())
বাক্যে অবস্থান : পূর্বে, মধ্যে ও শেষে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে, তবে ভেতরে ফাঁকা থাকবে না ।
ব্যবহারের নিয়ম :
১. কোনো বক্তব্যকে বিশদভাবে বর্ণনা করার জন্য প্রথম বন্ধনী ব্যবহৃত হয় । যেমন : তিনি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কাজ করেন ।
২. অন্যের কথার মধ্যে নিজের কথা ঢোকাতে গেলে তৃতীয় বন্ধনী ব্যবহৃত হয় । যেমন : রবিন্দ্রনাথ [রবীন্দ্রনাথ] নভেল [নোবেল] পুরস্কার পেয়েছিলেন ।
১৩. বিকল্প (/)
নাম : বিকল্প
চিহ্ন : (/)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে না ।
ব্যবহারের নিয়ম :
দুই বা ততোধিক শব্দ বা বাক্যের মধ্যে যে কোনোটি হতে পারে অর্থে বিকল্পচিহ্ন ব্যবহৃত হয় । যেমন : তার বয়স ২৫/৩০ বছর হতে পারে ।
১৪. ধাতু-দ্যোতক (∙)
নাম : ধাতু-দ্যোতক
চিহ্ন : (∙)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ফাঁকা থাকবে, তবে পরে ফাঁকা থাকবে না ।
ব্যবহারের নিয়ম :
ব্যাকরণের ক্রিয়ামূল বা ধাতু বোঝানোর জন্য বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয় ।
যেমন : ∙কৃ + তব্য = কর্তব্য ।
১৫. পরবর্তী রূপবোধক (<)
নাম : পরবর্তী রূপবোধক
চিহ্ন : (<)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে না ।
ব্যবহারের নিয়ম :
যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তা বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয় । যেমন : রতন<রত্ন ।
১৬. পূর্ববর্তী রূপবোধক (>)
নাম : পূর্ববর্তী রূপবোধক
চিহ্ন : (>)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে না ।
ব্যবহারের নিয়ম :
কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছে তা বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয় । যেমন : পক্ষী>পাখি ।
১৭. সমান )
নাম : সমান
চিহ্ন : )
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ও পরে ফাঁকা থাকবে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
গণিতে, সন্ধিতে, প্রকৃতি-প্রত্যয়ে ব্যবহৃত হয় । যেমন : শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা ।
১৮. একবিন্দু (.)
নাম : একবিন্দু
চিহ্ন : (.)
বাক্যে অবস্থান : মধ্যে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ফাঁকা থাকবে না; তবে ক্ষেত্রবিশেষে পরে ফাঁকা থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে।
ব্যবহারের নিয়ম :
শব্দকে সংক্ষেপণের চিহ্ন হিসেবে অবিকল ইংরেজিতে যেভাবে ব্যবহার করা হয় বর্তমানে সেভাবেই বাংলাতে ব্যবহৃত হচ্ছে । যেমন : মো., ড. ইত্যাদি ।
[তবে, পূর্বে লেখা হতো : মোঃ/সাং/তাং]১৯. ত্রিবিন্দু (…)
নাম : ত্রিবিন্দু
চিহ্ন : (…)
বাক্যে অবস্থান : পূর্বে, মধ্যে ও শেষে
বিরতিকাল : প্রয়োজন নেই ।
ফাঁকা (Space) : আগে ফাঁকা থাকবে না; তবে ক্ষেত্রবিশেষে পরে ফাঁকা থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে ।
ব্যবহারের নিয়ম :
১. বর্জনচিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয় । যেমন : তিনি একজন যথার্থ লেখক … ভাষার ওপরে প্রচণ্ড দখল ।
২. কথা অসমাপ্ত রেখে দেওয়ার সময় ব্যবহৃত হয় । যেমন : আমি তোমাকে … ।
(সূত্র : ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি, ২০১৮, সরকারি কাজে প্রমিত বাংলা ব্যবহারের নিয়ম, বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ, ২০১৭, বাংলা লেখার নিয়মকানুন-হায়াৎ মামুদ ।)
লেখক
সহকারী শিক্ষক, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, জাহানাবাদ সেনানিবাস, খুলনা ।
ফোন নম্বর : 01718624544
ই-মেইল ঠিকানা : kamrulier@gmail.com