সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার ২ বছর পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার!

অন্যদৃষ্টি অনলাইন
শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার ২ বছর পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার!

মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই হারিয়ে যায় দাম্পত্য সম্পর্কের উষ্ণতা। অশান্তি করেই দিন কাটাতে থাকে স্বামী-স্ত্রী’র। কথা কাটাকাটি হতো, তবে তাতে আমল দিতেন না স্ত্রী। মারধর যেন সহ্য হচ্ছিল না। একসময় বেঁচে থাকার ইচ্ছাও হারিয়ে ফেলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিকা গাইতান।

তাই মাঝসমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিলেন কলোম্বিয়ার এই নারী। মাঝে দু’বছর আর কোনও খোঁজ ছিল না তার। ২ বছর পর মাঝসমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন মৎস্যজীবী রোলানদো ভিসবাল ও তার এক বন্ধু। এভাবেও বেঁচে ফেরা যায়। ওই নারীর ফিরে আসার কাহিনি শুনে হতবাক সকলেই।

৪৬ বছরের অ্যাঞ্জেলিকা গাইতান জানান, প্রায় ২০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক তার। প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই সম্পর্ক উষ্ণতা হারায়। মারধর শুরু হয়। তাতেও সংসার চলছিল। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হন। অর্থনৈতিক দিক থেকে কোনও সঙ্গতি নেই। তার উপর আবার দু’টি সন্তান। তাই স্বামীকে ছেড়ে চলে আসতে পারেননি কখনই। বাধ্য হয়ে একবার পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে থানা থেকে তার স্বামী ছাড়া পাওয়ার পর অত্যাচার আরও বাড়ে। মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় তার। সাংসারিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন তিনি। মাঝে কেটে যায় দু’টি বছর। মাঝে কী হয়েছিল, তা ওই নারীর নিজেরও অজানা।

ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করেন মৎস্যজীবী রোলানদো। দেখা যায়, একজন নারী মাঝসমুদ্রে ভেসে যাচ্ছেন। তখনই মৎস্যজীবীরা তৎপরতার সঙ্গে ওই নারীকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের সময় ওই নারী অজ্ঞান ছিলেন। উদ্ধারের কিছুক্ষণ পরই তার জ্ঞান ফিরে আসে। এরপরই নিজের দাম্পত্য অশান্তির কথা জানান তিনি। এরপর তার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আপাতত তার কাছেই রয়েছেন অ্যাঞ্জেলিকা গাইতান। উদ্ধারের পর তিনি প্রথমেই বলেন, আমি আবার জন্ম নিলাম। ঈশ্বর চাননি আমি মরে যাই।’‌

গার্হস্থ্য হিংসার কথা অস্বীকার করেছেন অ্যাঞ্জেলিকা গাইতানের দুই মেয়ে। অবশ্য মাকে নিজেদের কাছে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন মেয়েরা।

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


আরো সংবাদ
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com