ইতিহাস ও ঐতিহ্ন্যেভরা সোনার বাংলা । আজ থেকে প্রায় কয়েকশ বছরের পূরোনো । ঈসা খাঁর আমলের মসলিনের নাম শোনেনি এমন শোনা একটি বিরল ঘটনা ।
যুগ যুগ ধরে এই মসলিনের সুনাম অক্ষুন্ন ছিল। কিন্তু বর্তমানে মসলিনের প্রাচুর্যতা না থাকলে ও তার উত্তরাধিকারীর ভূমিকায় রয়েছে বেনারসি ও জামদানী শাড়ি। সকল আভিজাতিক পরিবারের এক অন্যন্য আকর্ষন বেনারসির ও জামদানী। কিন্তু কিভাবে কাটছে এই পল্লীর কারিগরদের জীবন ব্যবস্থা ।
ইশ্বরদির ফতেহ মোহাম্মদপুর (লোকোসেট) এর গ্রামগুলি জুড়ে রয়েছে কয়েকশ পরিবার যাদের জীবন ব্যবস্থা খুবই নিম্নমানের যা আধুনিক সভ্য সমাজে কোনভাবেই যায় না। জীর্নঘরে এই কারিগরদের বাস এবং জীবন যাপনের একমাত্র হাতিয়ার তাঁতগুলি স্থাপিত হয়েছে সেখানে একজন লোকের প্রবেশ করাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কোনভাবেই বৃষ্টির পানি ঠেকাতে পারবেনা তাঁতঘর গুলি । তার পর ও তারা হাল ছাড়েনি তাদের প্রিয় মানুষগুলির মুখ চেয়ে।
এমনই দুই ভুক্তভোগী কারিগরের কথা জানতে ইশ্বরদি ফতেহ মোহাম্মদপুর (কোসেটে )।স্বাক্ষাতে অংশ নেওয়া দুই কারিগর পিয়াস উল্লাহ বিশ্বাস ও আফতাব উদ্দিন। তারা জানান একটি শাড়ি তৈরিতে ডিজাইন অনুযায়ী ১০০০/= ( একহাজার) থেকে ২৮০০/= (আটাশ শত) টাকা পেয়ে থাকে ৪ থেকে ৭ কর্মদিবসের বিনিময়ে ।
একেক টি শাড়ির ওজন ৩০০ গ্রাম থেকে ১৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে । এই সব শাড়ির বাজার মূল্য ৫,০০০/= থেকে ৩০,০০০/= টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে । কিন্তু মধ্যসত্বভোগিদের কারনে তাদের কষ্টের যথার্থ মূল্যায়ন হয় না বলে তারা জানিয়েছেন।ভুক্তভোগিরা বলেন যদি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পায় এবং উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থা এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা যায় তাহলে এই শিল্প চলবে এবং বিদেশী নির্ভরতা অনেকাংশে কম্বে বলে আশা প্রকাশ করেন।