পাথর, বৃষ্টি ও চলমান মহামারী পৃথিবীতে কখন এবং কেন আসে?

অন্যদৃষ্টি অনলাইন
বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:২০ অপরাহ্ন

আবদুল মান্নান।।

▪︎বিএ(সম্মান) এমএ, এলএলবি▪︎

বিশ্ব জগতের মহান সৃষ্টি কৰ্তা সৰ্বশ্ৰেষ্ঠ সৃষ্টি মানব জাতিকে ভালবাসেন। মানব জাতির কল্যাণ নিশ্চিত কল্পে অসংখ্য সৃষ্টি তিনি সৃজন করেন। যখন মানবজাতি তাদের  অবাধ্যতার চরম সীমা অতিক্ৰম করে তখন আল্লাহ পাক তাদের উপর বিভিন্ন বিপদাপদ, মহামারি, দুৰ্ভিক্ষ, পাথরবৃষ্টি, ভূমিধস,গরম বাতাস, চেহারা বিকৃতি ইত্যাদির মাধ্যমে শাস্তি প্ৰদান করে থাকেন।

আর এ সমস্ত বিপদ তাদের কৃত কৰ্মের ফল এবং তা পৃথিবী সৃষ্টির পূৰ্ব হতে নিৰ্ধারিত।

♧ আল্লাহ বলেন ;

ما أصاب  من مصيبة في الأرض و لا في انفسكم إلا في كتاب من  قبل أن نبرأها – إن في ذلك علي الله يسير . الحديد ؛ ٢٢

অৰ্থাৎ; পৃথিবীতে অথবা মানুষের জন্য যখন কোন বিপদাপদ এসে পৌঁছায় , তা লিপিবদ্ধ আছে জগৎ সৃষ্টির পূৰ্ব থেকে । নিশ্চয় আল্লাহ পাকের জন্য এ রকম সম্পাদন করা সহজ। (সূরা আল-হাদিদ :২২)

আর এ ধরণের বিপদ-মহামারি তখনই আল্লাহ পাক মানব জাতির জন্য প্ৰেরণ করেন যখন তাদের মধ্যে নিৰ্দিষ্ট কিছু চরিত্ৰের উপস্থিতি ঘটে। বিশেষ করে বাদ্যযন্ত্ৰ, গায়িকার বিস্তৃতি ও মদের ব্যাপকতা লাভ করলে তখন পাথর বৰ্ষণ, ভুমিধস হয়ে থাকে।

♧ রাসুল (সা:) বলেন ;

حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْقُدُّوسِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ فِي هَذِهِ الأُمَّةِ خَسْفٌ وَمَسْخٌ وَقَذْفٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَتَى ذَاكَ قَالَ ‏”‏ إِذَا ظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏

অৰ্থাৎ;  ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন :  ভূমিধস, চেহারা বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণস্বরূপ আযাব এ উম্মাতের মাঝে ঘনিয়ে আসবে। জনৈক মুসলিম ব্যক্তি(সাহাবী) প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর  রাসুল (সা:)!  কখন এসব আযাব সংঘটিত হবে ? তিনি বললেন ; যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্র বিস্তৃতি লাভ করবে এবং মদ্যপানের সয়লাব হবে।

{(জামে আত-তিরমিযি-২২১২,”হাসান হাদিস)(সহীহাহ-১৬০৪)}

☆তাছাড়া নিম্নোক্ত হাদিসে রাসুল(সা:) এ ধরণের আযাব, ও মহামারি ও পাথর বৃষ্টি ইত্যাদির মাধ্যমে মানব জাতিকে শাস্তি প্ৰদানের বেশ কয়েকটি নিদৰ্শন বিশদভাবে বৰ্ণনা করেন।

♧ তিনি(সা:) বলেন;

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ، عَنِ الْمُسْتَلِمِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ رُمَيْحٍ الْجُذَامِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا اتُّخِذَ الْفَىْءُ دُوَلاً وَالأَمَانَةُ مَغْنَمًا وَالزَّكَاةُ مَغْرَمًا وَتُعُلِّمَ لِغَيْرِ الدِّينِ وَأَطَاعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَعَقَّ أُمَّهُ وَأَدْنَى صَدِيقَهُ وَأَقْصَى أَبَاهُ وَظَهَرَتِ الأَصْوَاتُ فِي الْمَسَاجِدِ وَسَادَ الْقَبِيلَةَ فَاسِقُهُمْ وَكَانَ زَعِيمُ الْقَوْمِ أَرْذَلَهُمْ وَأُكْرِمَ الرَّجُلُ مَخَافَةَ شَرِّهِ وَظَهَرَتِ الْقَيْنَاتُ وَالْمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الْخُمُورُ وَلَعَنَ آخِرُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَوَّلَهَا فَلْيَرْتَقِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ رِيحًا حَمْرَاءَ وَزَلْزَلَةً وَخَسْفًا وَمَسْخًا وَقَذْفًا وَآيَاتٍ تَتَابَعُ كَنِظَامٍ بَالٍ قُطِعَ سِلْكُهُ فَتَتَابَعَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

অৰ্থাৎ ; আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত “তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা:)এরশাদ করেন ;

যখন গানীমাতের (যুদ্বলব্দ) মাল ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত হবে, আমানতের মাল লুটের মালে পরিণত হবে, যাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে, ধর্ম বিবর্জিত শিক্ষার প্রচলন হবে, পুরুষ স্ত্রীর অনুগত হয়ে যাবে কিন্তু নিজ মায়ের অবাধ্য হবে, বন্ধু-বান্ধবকে কাছে টেনে নিবে, কিন্তু পিতাকে দূরে ঠেলে দিবে, মসজিদে কলরব ও হট্টগোল করবে, পাপাচারীরা গোত্রের নেতা হবে, নিকৃষ্ট লোক সমাজের কর্ণধার হবে, কোন মানুষের অনিষ্ট হতে বাঁচার জন্য তাকে সম্মান দেখানো হবে, গায়িকা-নর্তকী ও বাদ্যযন্ত্রের বিস্তার ঘটবে, মদপান করা হবে, এই উম্মাতের শেষ যামানার লোকেরা তাদের পূর্ববতী মনীষিদের অভিসম্পাত করবে, তখন তোমরা অগ্নিবায়ু, ভূমিধস, ভূমিকম্প, চেহারা বিকৃতি ও পাথর বর্ষণরূপ শাস্তির এবং আরো আলামতের অপেক্ষা করবে যা একের পর এক নিপতিত হতে থাকবে, যেমন পুরানো পুঁতিরমালা ছিড়ে গেলে একের পর এক তার পুঁতি ঝরে পড়তে থাকে।

(জামে আত তিরমিযি-২২১১)

☆ তাছাড়া “তিরমিযি শরিফের ২২১০ নং হাদিসে” রাসুল(সা:) উল্লেখিত ১৫ টি নিদৰ্শন পাওয়া গেলে উম্মতের উপর আল্লাহ শাস্তি আবশ্যক হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই রাসুল এ সমস্ত বাদ্যযন্ত্ৰ শিক্ষা,গায়িকা ও নৃত্যশিল্পী ক্ৰয়-বিক্ৰয় হারাম করে দিয়েছেন।

♧ তিনি(সা:) বলেন ;

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ لاَ تَبِيعُوا الْقَيْنَاتِ وَلاَ تَشْتَرُوهُنَّ وَلاَ تُعَلِّمُوهُنَّ وَلاَ خَيْرَ فِي تِجَارَةٍ فِيهِنَّ وَثَمَنُهُنَّ حَرَامٌ ‏”‏ ‏.‏ فِي مِثْلِ ذَلِكَ أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ومِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا يُرْوَى مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ ‏.‏ وَالْقَاسِمُ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ الْقَاسِمُ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ يُضَعَّفُ ‏.‏

অৰ্থাৎ; আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ (সা:) এrশাদ করেন;  তোমরা গায়িকা নারীদের ক্রয়-বিক্রয় করো না, তাদেরকে গান-বাজনা শিক্ষা দিও না, তাদের (ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা) ব্যবসায়ের মধ্যে কোন মঙ্গল নেই এবং এদের মূল্যও হারাম। এ প্রসঙ্গেই এই আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ)ঃ “এমনও কিছু লোক আছে, যারা বাতিল অশ্লীল কাহিনীসমূহ ক্রয় করে আনে, যেন লোকদেরকে অজ্ঞতাবশত আল্লাহ তা’আলার পথ হতে আলাদা করতে পারে এবং এ পথকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে পারে। এ ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে অপমানকর আযাব”- (সূরা লুকমান ৬)। ৹(তিরমিযি-৩১৯৫” ১২৮২: হাসান)৹

☆ নিন্মোক্ত ৫ টি লক্ষণ পাওয়া গেলে যথা;    যেনা-ব্যভিচার বেড়ে গেলে , ওজন-পরিমাণে কম দিলে, যাকাৎ আদায় বন্ধ করে দিলে, আল্লাহ্- নবীর অঙ্গীকার ভঙ্গ, কুরআন -হাদিস অনুযায়ী শাসক গোষ্ঠী বিচার না করলে তখন মহামারি ও  দুৰ্ভিক্ষ নেমে আসে এবং পরস্পর দ্বন্দ্ব ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।

♧ এ বিষয়ে নবী(সা:) বলেন;

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ “‏ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلاَّ فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلاَفِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا ‏.‏ وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِلاَّ أُخِذُوا بِالسِّنِينَ وَشِدَّةِ الْمَؤُنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ عَلَيْهِمْ ‏.‏ وَلَمْ يَمْنَعُوا زَكَاةَ أَمْوَالِهِمْ إِلاَّ مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ وَلَوْلاَ الْبَهَائِمُ لَمْ يُمْطَرُوا وَلَمْ يَنْقُضُوا عَهْدَ اللَّهِ وَعَهْدَ رَسُولِهِ إِلاَّ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَخَذُوا بَعْضَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ ‏.‏ وَمَا لَمْ تَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَيَتَخَيَّرُوا مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ ‏”‏ ‏.

অৰ্থাৎ;ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত :তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা:) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেন; হে মুহাজিরগণ ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও।

ক_যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।

খ_যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত, রাজার অত্যচার চাপিয়ে দেন।

গ_যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভু-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না।

ঘ_যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতিয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়।

ঙ_যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযীলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন।

[ইবনে মাজাহ-৩৩৫১ ” ৪০১৯^ হাসান_সহীহাহ-১০৬]

☆ অন্যদিকে মানব জাতির আল্লাহ পাকের অবাধ্যতার জন্য দুৰ্ভিক্ষ,মহামারি, পাথর বৃষ্টি , চেহারা বিকৃতি, ভূমিধস ইত্যাদি দিয়ে যখন শাস্তি দেন তখন ঐ জনপদের খোদাভীরু মানুষ ও শাস্তির আওতায় চলে আসে।

♧ এ বিষয়ে রাসুল(সা:) বলেন,

 

أنه سمع ابن عمر رضي الله يقول، قال رسول الله صلى الله عليه وسلم- إذا أنزل الله بقوم عذابا أصاب العذاب من كان فيهم ثم بعثوا علي أعمالهم: رواه البخاري.  ٧١٠٨(7108)

 

অৰ্থাৎ; রাসুল(সা:) বলেন ;আল্লাহ পাক কোন জাতির নিকট শাস্তি প্ৰেরণ করলে ঐ জাতির সবার প্ৰতি সেই শাস্তি প্ৰেরণ করেন।অতপর তারা তাদের নিয়তের উপর নিৰ্ভর করে হাশরে উত্তোলন করা হবে। (বুখারী-৭১০৮)

 

♧ তাই আল্লাহ পাক বলেন;

واتقوا فتنة لاتصيبن اللذين ظلموا خاصة

অৰ্থাৎ; তোমরা আল্লাহ পাকের এমন শাস্তিকে ভয় কর যা কেবল অত্যাচারিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা।(আল-কোরআন)।

আল্লাহ সবাইকে মহামারি থেকে মুক্তি দিন।(আমিন)

____________________________________________________________________________________________________________

(বিঃদ্ৰঃ : কপি পেষ্ট নিষিদ্ধ। শেয়ার করা যাবে।).

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


আরো সংবাদ
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com