নওগাঁর রাণীনগরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের দীর্ঘ ১৬ মাস পর অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট আসার পরই হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
গত ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মুনিরা নামের ঐ গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানিয়রা ঐ সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মুনিরা (৪৫) নামের এক গৃহবধূ বলেই ধারনা পোষন করেন লোকজন। পরে এ ঘটনায় মুনিরার স্বামী আজিজুল থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করেন। অবশেষে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে ঐ গৃহবধূকে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘটনার ১৬ মাস পর একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম সরদার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালীগ্রাম সরদারপাড়া গ্রামের আফজাল সরদারের ছেলে একই উপজেলার রাতোয়াল গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে মুনিরা বিবিকে ৩০ বছর আগে বিয়ে করেন। দীর্ঘ এ বিবাহিত জীবনে তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুনিরার মা মোবাইল ফোনে জানতে পারেন মুনিরা গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার দিন মুনিরার স্বামী আজিজুল থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলা হয় মুনিরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার ময়না তদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে মুনিরার মা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রাণীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার ওসি মোঃ শাহিন আকন্দ বলেন, মুনিরা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মর্মে স্বামী আজিজুল ঘটনার দিন থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করেন। পরে ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধে হত্যার রিপোর্ট আসে। এতে মুনিরার মা সহিদা বিবি বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনাহবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।